ফজর কাযা না করতে চাইলে

প্রথমেই আমরা ফজরের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবো এরপর কিছু কৌশল নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের ফজরে নিয়মিত উঠতে সহায়তা করবে।

আমরা শুরুতেই ফজর সম্পর্কে একটি হাদিস নিয়ে কথা বলতে পারি-

যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো…।  (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৯)

যদি আল্লাহ্‌র তত্ত্বাবধানে থাকতে চান

আপনি যদি আপনার সারাদিন সুন্দর ও সফল করতে চান তবে অবশ্যই আল্লাহ কে পাশে পাওয়া জরুরী। আর আল্লাহকে পাশে পাওয়া অর্থাৎ আল্লাহ্‌র রক্ষণাবেক্ষণে থাকার উপায় হচ্ছে ফজর আদায় করা।

সারাদিন খুশিতে ও প্রফুল্ল থাকতে

রাসুল (সা:) বলেন, ‘তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়লে, শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এই কথা বলে, তোমার সামনে দীর্ঘ রাত অপেক্ষা করছে; অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে একটি গিঁট খুলে যায়। অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। অতঃপর নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় উত্ফুল্ল চিত্তে ও প্রফুল্ল মনে। না হয়, সে সকালে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে ওঠে।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪২)

মূলত আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদের সময়ে বরকত দিয়ে দেন যাতে আমাদের দিনের সময়ে অনেক বেশি সফলতা যুক্ত করে দেন। যেমন দেখা যায় একজন মানুষ ভোরে উঠে নামাজ না পড়ে একেবারে রাত ১০ টা পর্যন্ত ধরে কাজ করেও যা না করতে পারলো আরেকজন ব্যাক্তি ফজর পড়ে, কোরআন পড়ে কাজ শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্তই আগের ব্যাক্তির চেয়ে বেশি কাজ করে ফেললো।

ফজরে উঠার জন্য যা যা করতে হবে

  • ঈশার সালাতের পর দ্রুত ঘুমান, 10-11 টার মধ্যে
  • অযু করে ঘুমান এতে শয়তানের প্রভাব থেকে আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করবেন
  • এলার্ম সেট করে রাখুন

This Post Has 2 Comments

  1. আপনি টাইটেল এ উল্লেখ করেছেন :

    “প্রথমেই আমরা ফজরের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবো এরপর কিছু কৌশল নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের ফজরে নিয়মিত উঠতে সহায়তা করবে।”

    এখানে ফাজায়েলে সম্পর্কে লেখা আছে কিন্তু কৌশল সম্পর্কে তো আলোচনা করা হলো না। যে জিনিসটা সম্পর্কে লেখা নেই সেটা টাইটেলে লেখা ঠিক হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *